Sunday, January 19, 2014

গাইবান্ধায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে ২২ পুলিশসহ আহত শতাধিক


গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বনন্দপুর গ্রামে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যৌথবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এসআইসহ পুলিশের ২২ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের সাতজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। রোববার সকাল সাড়ে নয়টায়ও সংঘর্ষ চলছিল বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে এলাকাটিতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর একটি দল।

এ সময় গ্রেফতার এড়াতে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সদস্যদের উপর ইট-পাটকেল, ককটেল ইত্যাদি নিক্ষেপ করতে শুরু করে। ফলে পুলিশও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পাল্টা টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়তে শুরু করে।

সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে পুলিশের এসআইসহ যৌথ বাহিনীর ২২ জন সদস্য আহত হন এবং জামায়াত-শিবিরের অন্তত ১২০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে জানিয়েছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোজাম্মেল হক।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজন্সহ পুলিশ জামায়াত-শিবিরের মোট সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।

ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানিয়েছেন, নির্বাচনপরবর্তী সময়ে সহিংসতা এড়াতে গ্রামটিতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ-বিজিবি-র্যা ব-সেনা সদস্যদের একটি যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ও গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করতে শুরু করলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে জানিয়ে ওসি মোজাম্মেল হক আসামিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার পর জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা চালান। তারা পুলিশের চারজন কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ছাড়া একই সময়ে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় আরো চার ব্যক্তি নিহত হন। ওই ঘটনায় ৩২টি মামলা হয়। এতে ৬০ হাজার জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ১০০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাত।

এসব মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে সর্বনন্দপুর ইউনিয়নের সর্বনন্দপুর গ্রামে যায় পুলিশ। এ সময় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এক জোট হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান এবং একপর্যায়ে তারা পুলিশের ভাড়া করা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেন।

পরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পুলিশ শতাধিক ফাঁকা গুলি, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা একপর্যায়ে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। রাতের অন্ধকারে পুলিশ সদস্যরাও সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ মাঝেমধ্যে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

পুলিশ জানায়, অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করতে রাত প্রায় আড়াইটার দিকে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তখন থেকে যৌথ বাহিনী কদমতলী খানাবাড়ি গ্রামটি ঘিরে রাখে। রাতে কুয়াশার কারণে তারা দ্রুত এগোতে পারছিলেন না।

Thursday, January 16, 2014

দিনাজপুর-৪-এ আবুল, গাইবান্ধা-৩ আসনে ইউনূস নির্বাচিত



দিনাজপুর-৪ আসনে আবুল হোসেন নির্বাচিত

দিনাজপুর: দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) স্থগিত ৫৭ ভোট কেন্দ্রের ফলাফল শেষে প্রাক্তন পরাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হোসেন মাহমুদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ।
তিনি ১ লাখ ৪২ হাজার ৪০৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এনামুল সরকার হাতুড়ি প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৭৬১টি।
বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আহমেদ শামীম আল রাজি এই ফলাফল প্রকাশ করেন। 


গাইবান্ধা-৩ আসনে ইউনুস আলী সরকার নির্বাচিত

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-৩ আসনে (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) ডা. ইউনুস আলী সরকার নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম খুদী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২০৪ ভোট।

Wednesday, January 15, 2014

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্থগিত নির্বাচন আবার স্থগিত


ঢাকা : কুড়িগ্রাম-৪ আসনের দুটি কেন্দ্রের স্থগিত ভোটগ্রহণ আদালতের নির্দেশে আবারও স্থগিত হয়েছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে চার সপ্তাহের জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় নিশ্চিত করেছে।

আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী জাকির হোসেন এ আসনের আরো কিছু কেন্দ্রে পুনঃভোটের আবেদন করে স্থগিতাদেশ চায়। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এ দুই কেন্দ্রে ভোট হবে না বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের ১০৬ কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত দুটি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে ৭ হাজার ২৫৭টি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টি  জেপি) প্রার্থী মো. রুহুল আমিন ৩০ হাজার ৫৪৪ ভোট ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেন ২৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৬ হাজার ৫৯৮ ভোটের পার্থক্য থাকায় এই দুই কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ করতে আইনগত বাধ্য।

প্রসঙ্গত, এ আসন বাদ দিলে ১৬ জানুয়ারি ৭টি আসনের স্থগিত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 

রংপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে ছিনতাইকারীদের তাণ্ডব

রংপুর: রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ি ও স্টেশন মাস্টারের রুমসহ আটটি কক্ষে হামলা করে বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর, লুটপাট ও তাণ্ডব চালিয়েছে ছিনতাইকারীরা। এ সময় হামলায় স্টেশন সুপার মাস্টার ও দুই কনস্টেবলসহ পাঁচজন আহত হয়ছে।
পরে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে টোকাই শাকিল, জাহিদ মাসুম ও মিন্টু নামের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় এই ঘটনার পর ওই এলাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাটিতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এই ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর দুইটার দিকে স্টেশন প্লাটফর্মের পূর্ব দিক থেকে বাবুপাড়ার রেলগেট এলাকায় আলফালাহ ইনস্টিটিউটের সামনে দৈনিক দেশের পত্রের সার্কুলেশন ম্যানেজার আক্কাস আলী, ডিস্ট্রিবিউটর রেজাউল করিম ও শহিদুল ইসলামকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় টোকাই শাকিল (২৩), জাহিদ মাসুম (২৫), মনু (২৩) মিন্টু, বাংকা (৩২), বাকেট (৩৪), কাওছার (২৫) তনু (২৫), সুমনসহ (৪৫) একদল ছিনতাইকারী।
এ সময় ছিনতাইকারীরা আক্কাস আলীর ল্যাপটপ টানাহেঁচড়া করতে শুরু করলে তারা জীবন বাঁচাতে দৌড়ে জিআরপি পুলিশ ফাঁড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। তখন ছিনতাইকারীরাও তাদের পিছনে পাল্টা ধাওয়া দিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ আব্দুল মান্নানকে জিম্মি করে ফাঁড়ি ঘেরাও করে রাখে।
এ সময় ছিনতাইকারীরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ আব্দুল মান্নানকে ফাঁড়ি থেকে তাদের বের করে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। এ সময় আব্দুল মান্নানসহ উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা এর প্রতিবাদ করলে ছিনতাইকারীরা পুলিশ ফাঁড়িতে অস্ত্রশস্ত্র ও লাইনের পাথর দিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মান্নান, কনস্টেবল আজিজুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম আহত হন। এ ঘটনায় স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্টের রুম, স্টেশন মাস্টারের রুম, দুটি বিশ্রামাগার, টিসি রুম, তথ্য কেন্দ্র এবং বুক স্টলে হামলা চালিয়ে দরজা-জানালা, গ্লাস, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করতে থাকে। এতে ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মোজাম্মেল হক, স্টেশন মাস্টার তপন কুমার, পোর্টার জাহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় পোর্টার জাহিদুলের পা গুরুতর জখম হয়।
ঘটনার সময় ছিনতাইকারীরা টিকেট চেকার জাকির হোসেনের পকেট থেকে বেতনের ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের তাণ্ডবে স্টেশনের যাত্রীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে শুরু করলে ছিনতাইকারীরা যাত্রীদের কাছ থেকেও অন্তত ২০ টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। প্রায় আট ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে ছিনতাইকারীরা বীরদর্পে স্টেশন এলাকা ত্যাগ করে।
ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অন্তত পাঁচ লাখ টাকার মালামালের ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে বেশ কয়েক প্লাটুন পুলিশ স্টেশন এলাকায় মোতায়েন করে সেখানে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হলে বাবুপাড়া থেকে জাহিদ ও মিন্টু এবং লালবাগ থেকে টোকাই শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন তিনজনকে গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এই ঘটনায় স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় ভাঙচুর, হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

কুড়িগ্রামে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যা

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।


মঙ্গলবার দিবাগত গভীররাতে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাগলার হাটে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন- গৃহকর্তা সুলতান (৬০), স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪০), নাতনী অনিকা (৭), নাতনী রোমানা (১৪)। 



স্থানীয়রা জানান, গভীররাতে উপজেলার দিয়াডাঙ্গ গ্রামের সিঁদ কেটে সুলতানের বাড়ির ভিতরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা। পরে ধারালো অস্ত্রদিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ছয়জনকে হত্যার চেষ্টা করে। এতে ঘটনাস্থলে গৃহকর্তা সুলতানসহ তার দুই নাতনী নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হন স্ত্রী হাজেরা, মেয়ে মৌসুমিসহ আরো একজন। বুধবার সকালে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে হাজেরার মৃত্যু হয়। 


ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম মাহাফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে কি কারণে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

Monday, January 13, 2014

রংপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

রংপুর সংবাদদাতা : জেলার কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন স্ত্রী আঁখি (১৮)।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
তিনি জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক স্বামী কামরুজ্জামান (২৮) পলাতক রয়েছেন। 

পারিবারিক সূত্রে যানা গেছে, আঁখি বেগমের সঙ্গে ছয়মাস আগে কামরুজ্জামানের বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। এরই জের ধরে আঁখিকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস আজ

দিনাজপুর: আজ দিনাজপুরের ‘হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি’ দিবস। ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি হিলি রেলস্টেশনে ঘটে যাওয়া হৃদয় বিদারক ট্রেন দুর্ঘটনার কথা মনে হলে আজও গা শিউরে উঠে। এর মধ্যেই পেরিয়ে গেল ১৯টি বছর। 

সেদিন ছিল শুক্রবার। রাত সাড়ে ৯টার দিকে দিনাজপুর জেলাধীন হাকিমপুর উপজেলার হিলি রেলওয়ে স্টেশনের গোয়ালন্দ ঘাট থেকে আসা পার্বতীপুরগামী যাত্রীবাহী ৫১১ নং লোকাল ট্রেনটি ১নং লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের দায়িত্বহীনতার কারণে ১নং লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী যাত্রীবাহী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস। 

মুহূর্তেই দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংর্ঘষে বিকট শব্দ ও শত শত যাত্রীদের চিৎকারে ভারী হয়ে উঠে হিলির আকাশ-বাতাস। দুমড়ে মুচড়ে যায় লোকাল ট্রেন দু’টির ইঞ্জিনসহ ৩টি বগী। বিডিআর, বিএসএফসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ও একতা ক্লাবের সদস্যসহ স্থানীয়রা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। বেসরকারি ভাবে নিহতের সংখ্যা শতাধিক হলেও সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় মাত্র ২৭ জন ট্রেনযাত্রী নিহতের কথা। 

পরদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছুটে আসেন হিলি রেলষ্টেশনে। ঘোষণা দেন আহত ও নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণের। কিন্তু ১৯ বছর পার হলেও আজও আহত ও নিহতদের অনেক পরিবার পায়নি ক্ষতিপুরণের টাকা। সেই দুর্ঘটনায় আহতদের অনেকে এখনো পঙ্গুত্ববরণ করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 


দিনটি স্মরণ করে প্রতিবছরেই পালিত হয় ‘হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস’। হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের উদ্যোগে আজ নিহতদের স্মরণে রেলস্টেশনে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

Thursday, January 9, 2014

গাইবান্ধায় ১৮ দলের ১০ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় ১২টি মামলায় বিএনপি-জামায়াতের দুইশ’ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ সরকারি কাজে বাধা দেয়া ইত্যাদি ধারায় মামলাগুলো করা হয়েছে। মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়।

অপরদিকে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাদের বদলি করা হয়েছে।

এদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে শুরু করে এখনো গাইবান্ধায় প্রতিদিনই চলছে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ।

হামলায় আক্রান্ত নিরীহ সাধারণ মানুষের এই অবস্থার জন্য স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরস্পরকে দায়ী করছে।

তবে সাধারণ মানুষ বলছে, শুধু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই নয়, নাশকতা এড়াতে তাদের গ্রেফতারের জন্য আসা যৌথ বাহিনীর সদস্যরাও বাড়িতে পুরুষ সদস্যদের না পেলে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়।

দুই বাংলাদেশী ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : মো. আলম (২১) ও শামসুল হক (৩০) নামে দুই বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্ত থেকে বৃহস্পতিবার তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
বিজিবি ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চিকনমাটি বাদাম বাড়ি গ্রামের মো. রহিম উদ্দিনের ছেলে মো. আলম (২১) ও খেরবাড়ি ময়মনসিংপাড়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে শামসুল হকে মেইন পিলার ৩৭৪-এর সাব পিলার ১-৩-এর মাঝামাঝি এলাকা থেকে ভারতের ১২১ কুকরাদহ বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা ধরে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম মোস্তফা দ্য রিপোর্টকে জানান, আটক বাংলাদেশীদের ভারতের গোয়াল পুকুর থানায় পুলিশে সোপর্দ করেছে বিএসএফ।

Wednesday, January 8, 2014


ঢাকা : রংপুর-৬ আসন থেকে উপ-নির্বাচন করবেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের। জাতীয় পার্টি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, ছোটভাই জিএম কাদেরকে ছেড়ে সংসদে যেতে রাজি নয় জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রংপর-৬ আসন ছেড়ে দিতে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এরশাদের অনুরোধে রংপুর-৬ আসন ছেড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এমপি হিসেবে বহাল থাকছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে দলের পক্ষ থেকে রংপুর-৬ আসন ছেড়ে দেয়া সংক্রান্ত একটি চিঠি পৌঁছান এডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার।

প্রসঙ্গত, জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত অটল ছিলেন তার ভাই ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করলেও গৃহীত হয়নি তা। ফলে লালমনিরহাট-৩ আসনে তার প্রার্থীতা বহাল থাকে। যদিও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বির কাছে হেরে যান জিএম কাদের। 

রংপুর-৬ ছেড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী


ঢাকা : রংপুর-৬ আসন ছেড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এমপি হিসেবে বহাল থাকছেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে দলের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পৌঁছান অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার দুটো আসন থেকে নির্বাচন করছেন। আসন দুটি হলো রংপুর-৬ ও গোপালগঞ্জ-৩। ফলে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীক নিয়ে শেখ হাসিনা রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে জয়লাভ করেছেন। এ আসনের ১০৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টির ফলাফলে শেখ হাসিনা ৭০ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. নুর আলম মিয়া (জাতীয় পার্টি—লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৮ ভোট।
সহিংসতা ও আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে একতরফা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকি ১৪৭ আসনের প্রায় সাড়ে চার কোটি ভোটার আজ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

দিনাজপুরে কর্ণাই গ্রামে পরিকল্পিত হামলা : ১৮ দল

দিনাজপুর : নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায়  দিনাজপুরের কর্ণাই গ্রাম ও বীরগঞ্জ উপজেলায়  হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছে ১৮ দল।

দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। এ ঘটনার সাথে ১৮ দল জড়িত নয়। তাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ১৮ দল। সংবাদ সম্মেলন থেকে  প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হামিদুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের ধরতে যৌথ বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ ৭শ’ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত এ ঘটনার সাথে জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। একদিকে হামলা আর অন্যদিকে গ্রেফতারের ভয়ে কর্ণাইসহ আশপাশের গ্রামগুলো প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনি এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রজী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Tuesday, January 7, 2014

পলাশবাড়িতে ৪০টি যান ভাঙচুর, ১০ জন গুলিবিদ্ধ

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গাড়িসহ ৪০টি যানবাহন ভাঙচুর করেছেন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন পলাশবাড়ির তুহিন আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক হাফিজার রহমান (৪৮), উপজেলার গৃধারীপুর গ্রামের কছির উদ্দিন (৪৫), ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া (৫০), দেলোয়ার হোসেন (৪৫), সবুজ মিয়া (২২), হরিনমারী গ্রামের পরীক্ষিত চন্দ্র শীল (২৭), নুনিয়াগাড়ী গ্রামের মাছবিক্রেতা হাফিজার রহমান (৫০) ও অজ্ঞাত পচিয়ের তিনজন। তাঁদের মধ্যে কছির ও পরীক্ষিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা ১১টার দিকে পলাশবাড়ি শহরের বিটিসি, মহেশপুর, ব্র্যাক মোড়, সাথি সিনেমা ও জনতা ব্যাংক মোড়ে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা অন্তত ৩০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। বেলা দুইটার দিকে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশবাহী গাড়িবহর বগুড়ার দিকে যাওয়ার সময় সাথি সিনেমা হল এলাকায় পৌঁছালে ১০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন তাঁরা। এ সময় পুলিশবহর থেকেই শতাধিক গুলি ছোড়া হয়। একই সময়ে পলাশবাড়ি থানার পুলিশ উপজেলা শহরের চৌমাথা এলাকায় বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে। এতে অবরোধকারী, পথচারী, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। পরে গোটা উপজেলা শহরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধকারীদের ধাওয়ায় একটি মালবাহী ট্রাক শহরের মহেষপুর এলাকায় উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে চালকসহ তিনজন আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশ ২৫টি শটগানের গুলি ছোড়ে।


সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলা সদরের পাশের সুইগ্রাম, নিশ্চিন্তপুর, উদয়সাগর ও গিরিধারিপুর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। পলাশবাড়ি থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

রংপুরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, আটক ২৩

রংপুর: শিবির নেতা হাদিউজ্জামান ও জামায়াত কর্মী মিরাজুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে ডাকা হরতালে পিকেটিংকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে নগরীর এরশাদ মোড়ে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং, ভাংচুর ও রাস্তায় শুয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। 

এ সময় পুলিশ ৩ জন ও যৌথবাহিনী জামাত-শিবির ও বিএনপির ২৩ নেতা কর্মীকে আটক করে । এ ছাড়াও ছাত্রশিবির নগরীর পায়রা চত্বর, মাহিগঞ্জ, উত্তম, মডার্ন ও দেউতি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও ব্যাপক পিকেটিং করে । তারা ১৮ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানা গেছে ।  

Monday, January 6, 2014

রংপুর-৬ আসনে উপনির্বাচন করবেন জয়

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি : রংপুর-৬ থেকে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন থেকেই উপনির্বাচনে অংশ নেবেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এজন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পীরগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে এক নির্বাচনী পথসভায়র এক ঘরোয়া বৈঠকে জয় জানান, উপনির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিলে তিনি ভেবে দেখবেন বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের আশ্বাস দেন।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ওই বৈঠকে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ ১৪ দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় দেড় ঘণ্টা চলা ওই বৈঠকে সবার মতামত গুরুত্ব সহকারে শোনেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় ভেন্ডাবাড়ী থানাসহ পীরগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের দাবি উত্থাপন করা হয় জয়ের কাছে। সেখানে উপনির্বাচনে জয়কে প্রার্থী করারও জোরালো দাবি ওঠে। এ সময় নেতা-কর্মীদের দাবির মুখে জয় বলেন, ‘আমি নির্বাচনে না গেলেও পীরগঞ্জের অভিভাবক হয়ে কাজ করব।’

অন্যদিকে, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর রংপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয়কে নির্বাচনের পর আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। জয় এসে আপনাদের সঙ্গে থাকবে। এবার জয় আপনাদের সেবা করবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জয় আপনাদেরই সন্তান। তাকে পীরগঞ্জে আসতে হবে। আপনাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকবে। জয় আপনাদের কথা সব সময় ভাবে।’

প্রধানমন্ত্রীর এই কথার মধ্যে জয়ের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতারা। তার আগে রীতি অনুযায়ী আগামী সংসদে শপথ নিতে হলে দুটি আসনের মধ্যে একটি আসন ছেড়ে দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। সে ক্ষেত্রে ছেড়ে দেওয়া রংপুর-৬ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এ কারণে ২০১০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য করা হয়। ওই দিন দুপুরে বিশেষ বর্ধিত সভায় তার এই সদস্যপদ চূড়ান্ত করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি, টিপু মুন্সী প্রমুখ।

লালমনিরহাট: লাঙ্গলের দুর্গে নৌকার হানা

লালমনিরহাট: লালমনিরহাট জেলার তিনটি আসনেই এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকা। ওই আসনে জাতীয় পার্টির জেলা নির্বাচন কার্যালয় লালমনিরহাট সূত্র জানায়, এর আগে ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনটি আসনেই জয় পেয়েছে জাতীয় পার্টি। এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটল। তিন আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হওয়ায় লাঙ্গলের দুর্গ লালমনিরহাটে দলের অবস্থানে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খাজা মঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, লালমনিরহাটের বিজয়ী আওয়ামী লীগের তিন সাংসদ তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ করলে যেমন কাজ করার সুযোগ পাবেন, তেমনি জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে তিনি এ-ও বলেন, ‘আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের যথাক্রমে লালমনিরহাট-১ এবং লালমনিরহাট-৩ আসনের মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও পরে তা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। কাজেই তাঁরা কেউ কার্যকর প্রার্থী ছিলেন না, কাগজে-কলমে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তালিকায় ছিলেন মাত্র। কাজেই যে নির্বাচনে আমাদের কোনো পোস্টার, লিফলেট, সভা, সমাবেশ, পোলিং এজেন্ট ছিল না, আমাদের প্রার্থী সেখানে হেরে গেছেন তা আমরা মানতে রাজি নই।’
এবারের নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ প্রথমে প্রার্থী হন। পরে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। আবেদনটি মঞ্জুর না করে রিটার্নিং কর্মকর্তা এরশাদের প্রার্থিতা বহাল রাখেন।
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান আহম্মেদ একমাত্র মনোনয়নপত্র দাখিলকারী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবার সাংসদ নির্বাচিত হন। এ আসনের পর পর সাতবার বিজয়ী সাংসদ জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবর রহমান এবার মনোনয়নপত্র নিলেও প্রার্থী হননি। এ আসনে আর কেউ প্রার্থী ছিলেন না।
লালমনিরহাট-৩ (সদর উপজেলা) আসনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ। এ আসনের আরেক প্রার্থী জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। কিন্তু প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মতিয়ার রহমান বলেন, সদ্য সমাপ্ত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট জেলার তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ প্রগতিশীল সমাজ উল্লসিত ও আনন্দিত। তিনি বলেন, এবার নির্বাচিত সাংসদেরা কাজ করার সুযোগ পেলে একদিকে যেমন জেলার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে অন্যদিকে জেলার নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা সংগঠিত ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় লালমনিরহাট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ ও ২ আসনে, ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-১, ২ ও ৩ আসনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট- ১, ২ ও ৩ আসনে, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট- ১, ২ ও ৩ আসনে, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ আসনে এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ ও ৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হন।

রংপুরের মিঠাপুকুরে বিজয় মিছিলে ১৮ দলের হামলা

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের-৫ (মিঠাপুকুরের বড় হযরতপুর) এলাকায় সোমবার  সকালে আওয়ামী লীগ আনন্দ মিছিল বের করলে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১১ টার দিকে বড় হযরতপুর ইউনিয়নের বন্ধুর মোড়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জয়দুল ইসলামের নেতৃত্বে নির্বাচনী বিজয় মিছিল বের করে। এসময় সেখানে উপস্থিত স্থানীয় ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
বিক্ষিপ্ত হামলা প্রায় ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। গুরুতর আহত অবস্থায় সভাপতি জয়দুল ইসলামকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
আহত জয়দুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছেন, আমরা এইচ এন আশিকুর রহমান এমপিসহ ও সারাদেশে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ট আসন পাওয়ায় বিজয় মিছিল বের করলে তাতে বিএনপি-জামায়াত শিবির ক্যাডাররা হামলা চালায়।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
উল্লেখ্য, মিঠাপুকুর আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধক্ষ্য এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি নির্বাচিত হয়। 

রংপুরে মঙ্গলবার হরতাল ডেকেছে জামায়াত

রংপুর: রংপুরে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা জামায়াত। পুলিশের গুলিতে জেলাটিতে জামায়াত-শিবিরের দুইজন কর্মীর নিহত হওয়ার প্রতিবাদে  এবং খুনীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবিতে এই হরতালের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির।

ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা জামায়াতের আমীর এ টি এম আজম খান এবং মহানগর শিবির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘নৃশংস হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেন। দলীয় কর্মীদের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং বুধবার বিক্ষোভ র্কমসূচি পালন করার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে পীরগাছার দেউতি বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি দেউতির আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তারা দুই কর্মী হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় তারা নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

রংপুর মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দলের সেক্রেটোরি আল আমিন হাসান পারুল, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা মতলুবুর রহমান, সেক্রেটারি হাফেজ আলমগীর প্রমুখ।

এছাড়াও মহানগরী ও  জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন মহানগর জামায়াতের আমীর মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা আমীর এ টি এম আজম খান, মহানগর সেক্রেটারি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফ, পীরগাছা উপজেলার আমীর অধ্যাপক মোতালেব হুসাইন, সেক্রেটারি অধ্যাপক বজলুর রশীদ প্রমুখ।

Sunday, January 5, 2014

রংপুরে এগিয়ে লালমনিরহাটে হারলেন এরশাদ


রংপুর: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল চারটায়। এখন চলছে ভোট গণনা। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রংপুর-৩ (সদর) আসনে ৫০টি ভোটকেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে  লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এইচ এম এরশাদ ১০৬৫৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের সাব্বির আহমেদ পেয়েছেন ৩৪২০ ভোট।


উল্লেখ্য, রংপুর- ৩  আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৫৫৬২০। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২০৫ টি। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 


হেরে গেলেন এরশাদ
লালমনিরহাট : লালমনিরহাট-১ আসনে হেরে গেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিন পেয়েছেন ৭ হাজার ৮২৭ ভোট। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহের হোসেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

রংপুরে বিপুল ভোটে এগিয়ে হাসিনা

রংপুর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার দুটো আসন থেকে নির্বাচন করছেন। আসন দুটি হলো রংপুর-৬ ও গোপালগঞ্জ-৩। রংপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদ আহমদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন।
সর্বশেষ পাওয়া প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীক নিয়ে শেখ হাসিনা রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে ৬৭ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। এ আসনের ১০৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টির ফলাফলে শেখ হাসিনা ৭০ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. নুর আলম মিয়া (জাতীয় পার্টি—লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৮ ভোট।
সহিংসতা ও আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে একতরফা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকি ১৪৭ আসনের প্রায় সাড়ে চার কোটি ভোটার আজ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।