Monday, March 17, 2014

মা আমাকে মন্ত্রী বানাতে চেয়েছিলেন

রংপুর: ‘আমার মা আমাকে মন্ত্রী হতে বলেছিলেন। আমি রাজি হইনি। আমি আমার মাকে বলেছি, মন্ত্রীত্ব নয় আমি দেশের মানুষের সেবা করতে চাই।’

সোমবার সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

জয় বলেন, ‘যখন ছোট ছিলাম আমার মা আমাকে ও আমার বোনকে বলেছিলেন, তোমার নানার যে পরিচয়-সুনাম, তার প্রতি বাংলার মানুষের যে ভালোবাসা, কোনদিন এমন কিছু করবে না, যাতে এই নামটির বদনাম হয়। আমরা সে কথা রেখেছি। আমরা বাবার মতো পড়ালেখা শিখেছি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা বাংলাদেশে কোনদিন কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হইনি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমরা এই মহান নেতার বদনাম হতে দেব না। আমার মা আমাকে বলেছিল এসো তোমাকে মন্ত্রী বানিয়ে দেই। আমি বলেছি, আগে দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবো। ভোট ও পদ ওগুলো পরে হবে।’

উপজেলা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে জয় আরো বলেন, ‘বিশ্বে নির্দলীয় বলে কোনো নির্বাচন হয় না। উন্নত বিশ্বের সব দেশে সব (স্থানীয় সরকার) নির্বাচন দলীয়ভাবে হয়ে থাকে।’

তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায় তখন কেউ হারাতে পারে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেয়া সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করায় দেশবাসী আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ লাভবান হয়।’

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহারুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ এবং দিনাজপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম কামাল।

এর আগে জয় তার বাবা বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ও দাদা-দাদীর কবর জিয়ারত করেন। তিনি তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এরপর তিনি কর্মী সভার মঞ্চে উঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলের মালা দেন। এবং বঙ্গবন্ধুর ৯৪তম জন্মদিনের কেক কাটেন।

এ সময় পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিজয়ী ভাইস চেয়ারম্যান মোনায়েম সরকার মানু জয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা দেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক এমপি বলেন, ‘পীরগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ কিলোমিটার করে রাস্তা পাকা করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বিপু এমপি বলেন-‘পীরগঞ্জের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। শুধু তাই নয়, যে নেতা আমাদের দিকে একবার তাকালে উন্নয়ন হয়, সেই নেতা পীরগঞ্জের মাটির সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। দেশের উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে।’

প্যান্ট আর টি-শার্ট পরিহিত তরুণ এ রাজনীতিক কালো চশমা চোখে মঞ্চে উঠতেই স্লোগান আর করতালিতে মুখর হয়ে উঠে জয় সদন চত্বর।

তিনি বক্তব্যের একপর্যায়ে স্থানীয় নেতাদের অনুরোধ করে বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করেন, এলাকার জন্য কাজ করেন।’

কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি ছায়াদত হোসেন বকুল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রেজাউল করিম রাজু, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের আন্তঃপেশা ও সমন্বয় বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ রেজা শান্ত, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম পিন্টু, ছাত্রলীগ ক্দ্রেীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক তাজিমুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।

No comments:

Post a Comment