Tuesday, January 7, 2014

পলাশবাড়িতে ৪০টি যান ভাঙচুর, ১০ জন গুলিবিদ্ধ

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গাড়িসহ ৪০টি যানবাহন ভাঙচুর করেছেন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন পলাশবাড়ির তুহিন আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক হাফিজার রহমান (৪৮), উপজেলার গৃধারীপুর গ্রামের কছির উদ্দিন (৪৫), ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া (৫০), দেলোয়ার হোসেন (৪৫), সবুজ মিয়া (২২), হরিনমারী গ্রামের পরীক্ষিত চন্দ্র শীল (২৭), নুনিয়াগাড়ী গ্রামের মাছবিক্রেতা হাফিজার রহমান (৫০) ও অজ্ঞাত পচিয়ের তিনজন। তাঁদের মধ্যে কছির ও পরীক্ষিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা ১১টার দিকে পলাশবাড়ি শহরের বিটিসি, মহেশপুর, ব্র্যাক মোড়, সাথি সিনেমা ও জনতা ব্যাংক মোড়ে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা অন্তত ৩০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। বেলা দুইটার দিকে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশবাহী গাড়িবহর বগুড়ার দিকে যাওয়ার সময় সাথি সিনেমা হল এলাকায় পৌঁছালে ১০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন তাঁরা। এ সময় পুলিশবহর থেকেই শতাধিক গুলি ছোড়া হয়। একই সময়ে পলাশবাড়ি থানার পুলিশ উপজেলা শহরের চৌমাথা এলাকায় বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে। এতে অবরোধকারী, পথচারী, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। পরে গোটা উপজেলা শহরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধকারীদের ধাওয়ায় একটি মালবাহী ট্রাক শহরের মহেষপুর এলাকায় উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে চালকসহ তিনজন আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশ ২৫টি শটগানের গুলি ছোড়ে।


সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলা সদরের পাশের সুইগ্রাম, নিশ্চিন্তপুর, উদয়সাগর ও গিরিধারিপুর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। পলাশবাড়ি থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

No comments:

Post a Comment