Wednesday, January 8, 2014

দিনাজপুরে কর্ণাই গ্রামে পরিকল্পিত হামলা : ১৮ দল

দিনাজপুর : নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায়  দিনাজপুরের কর্ণাই গ্রাম ও বীরগঞ্জ উপজেলায়  হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছে ১৮ দল।

দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। এ ঘটনার সাথে ১৮ দল জড়িত নয়। তাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ১৮ দল। সংবাদ সম্মেলন থেকে  প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হামিদুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের ধরতে যৌথ বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ ৭শ’ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত এ ঘটনার সাথে জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। একদিকে হামলা আর অন্যদিকে গ্রেফতারের ভয়ে কর্ণাইসহ আশপাশের গ্রামগুলো প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনি এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রজী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Tuesday, January 7, 2014

পলাশবাড়িতে ৪০টি যান ভাঙচুর, ১০ জন গুলিবিদ্ধ

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গাড়িসহ ৪০টি যানবাহন ভাঙচুর করেছেন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন পলাশবাড়ির তুহিন আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক হাফিজার রহমান (৪৮), উপজেলার গৃধারীপুর গ্রামের কছির উদ্দিন (৪৫), ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া (৫০), দেলোয়ার হোসেন (৪৫), সবুজ মিয়া (২২), হরিনমারী গ্রামের পরীক্ষিত চন্দ্র শীল (২৭), নুনিয়াগাড়ী গ্রামের মাছবিক্রেতা হাফিজার রহমান (৫০) ও অজ্ঞাত পচিয়ের তিনজন। তাঁদের মধ্যে কছির ও পরীক্ষিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা ১১টার দিকে পলাশবাড়ি শহরের বিটিসি, মহেশপুর, ব্র্যাক মোড়, সাথি সিনেমা ও জনতা ব্যাংক মোড়ে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা অন্তত ৩০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। বেলা দুইটার দিকে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশবাহী গাড়িবহর বগুড়ার দিকে যাওয়ার সময় সাথি সিনেমা হল এলাকায় পৌঁছালে ১০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন তাঁরা। এ সময় পুলিশবহর থেকেই শতাধিক গুলি ছোড়া হয়। একই সময়ে পলাশবাড়ি থানার পুলিশ উপজেলা শহরের চৌমাথা এলাকায় বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে। এতে অবরোধকারী, পথচারী, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। পরে গোটা উপজেলা শহরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধকারীদের ধাওয়ায় একটি মালবাহী ট্রাক শহরের মহেষপুর এলাকায় উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে চালকসহ তিনজন আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশ ২৫টি শটগানের গুলি ছোড়ে।


সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলা সদরের পাশের সুইগ্রাম, নিশ্চিন্তপুর, উদয়সাগর ও গিরিধারিপুর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। পলাশবাড়ি থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

রংপুরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, আটক ২৩

রংপুর: শিবির নেতা হাদিউজ্জামান ও জামায়াত কর্মী মিরাজুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে ডাকা হরতালে পিকেটিংকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে নগরীর এরশাদ মোড়ে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং, ভাংচুর ও রাস্তায় শুয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। 

এ সময় পুলিশ ৩ জন ও যৌথবাহিনী জামাত-শিবির ও বিএনপির ২৩ নেতা কর্মীকে আটক করে । এ ছাড়াও ছাত্রশিবির নগরীর পায়রা চত্বর, মাহিগঞ্জ, উত্তম, মডার্ন ও দেউতি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও ব্যাপক পিকেটিং করে । তারা ১৮ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানা গেছে ।  

Monday, January 6, 2014

রংপুর-৬ আসনে উপনির্বাচন করবেন জয়

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি : রংপুর-৬ থেকে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন থেকেই উপনির্বাচনে অংশ নেবেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এজন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পীরগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে এক নির্বাচনী পথসভায়র এক ঘরোয়া বৈঠকে জয় জানান, উপনির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিলে তিনি ভেবে দেখবেন বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের আশ্বাস দেন।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ওই বৈঠকে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ ১৪ দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় দেড় ঘণ্টা চলা ওই বৈঠকে সবার মতামত গুরুত্ব সহকারে শোনেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় ভেন্ডাবাড়ী থানাসহ পীরগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের দাবি উত্থাপন করা হয় জয়ের কাছে। সেখানে উপনির্বাচনে জয়কে প্রার্থী করারও জোরালো দাবি ওঠে। এ সময় নেতা-কর্মীদের দাবির মুখে জয় বলেন, ‘আমি নির্বাচনে না গেলেও পীরগঞ্জের অভিভাবক হয়ে কাজ করব।’

অন্যদিকে, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর রংপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয়কে নির্বাচনের পর আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। জয় এসে আপনাদের সঙ্গে থাকবে। এবার জয় আপনাদের সেবা করবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জয় আপনাদেরই সন্তান। তাকে পীরগঞ্জে আসতে হবে। আপনাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকবে। জয় আপনাদের কথা সব সময় ভাবে।’

প্রধানমন্ত্রীর এই কথার মধ্যে জয়ের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতারা। তার আগে রীতি অনুযায়ী আগামী সংসদে শপথ নিতে হলে দুটি আসনের মধ্যে একটি আসন ছেড়ে দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। সে ক্ষেত্রে ছেড়ে দেওয়া রংপুর-৬ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এ কারণে ২০১০ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য করা হয়। ওই দিন দুপুরে বিশেষ বর্ধিত সভায় তার এই সদস্যপদ চূড়ান্ত করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি, টিপু মুন্সী প্রমুখ।

লালমনিরহাট: লাঙ্গলের দুর্গে নৌকার হানা

লালমনিরহাট: লালমনিরহাট জেলার তিনটি আসনেই এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকা। ওই আসনে জাতীয় পার্টির জেলা নির্বাচন কার্যালয় লালমনিরহাট সূত্র জানায়, এর আগে ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনটি আসনেই জয় পেয়েছে জাতীয় পার্টি। এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটল। তিন আসনে আওয়ামী লীগ জয়ী হওয়ায় লাঙ্গলের দুর্গ লালমনিরহাটে দলের অবস্থানে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খাজা মঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, লালমনিরহাটের বিজয়ী আওয়ামী লীগের তিন সাংসদ তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ করলে যেমন কাজ করার সুযোগ পাবেন, তেমনি জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে তিনি এ-ও বলেন, ‘আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের যথাক্রমে লালমনিরহাট-১ এবং লালমনিরহাট-৩ আসনের মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও পরে তা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। কাজেই তাঁরা কেউ কার্যকর প্রার্থী ছিলেন না, কাগজে-কলমে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তালিকায় ছিলেন মাত্র। কাজেই যে নির্বাচনে আমাদের কোনো পোস্টার, লিফলেট, সভা, সমাবেশ, পোলিং এজেন্ট ছিল না, আমাদের প্রার্থী সেখানে হেরে গেছেন তা আমরা মানতে রাজি নই।’
এবারের নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ প্রথমে প্রার্থী হন। পরে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। আবেদনটি মঞ্জুর না করে রিটার্নিং কর্মকর্তা এরশাদের প্রার্থিতা বহাল রাখেন।
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান আহম্মেদ একমাত্র মনোনয়নপত্র দাখিলকারী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবার সাংসদ নির্বাচিত হন। এ আসনের পর পর সাতবার বিজয়ী সাংসদ জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবর রহমান এবার মনোনয়নপত্র নিলেও প্রার্থী হননি। এ আসনে আর কেউ প্রার্থী ছিলেন না।
লালমনিরহাট-৩ (সদর উপজেলা) আসনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ। এ আসনের আরেক প্রার্থী জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। কিন্তু প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মতিয়ার রহমান বলেন, সদ্য সমাপ্ত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট জেলার তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ প্রগতিশীল সমাজ উল্লসিত ও আনন্দিত। তিনি বলেন, এবার নির্বাচিত সাংসদেরা কাজ করার সুযোগ পেলে একদিকে যেমন জেলার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে অন্যদিকে জেলার নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা সংগঠিত ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় লালমনিরহাট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ ও ২ আসনে, ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-১, ২ ও ৩ আসনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট- ১, ২ ও ৩ আসনে, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট- ১, ২ ও ৩ আসনে, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ আসনে এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ ও ৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হন।

রংপুরের মিঠাপুকুরে বিজয় মিছিলে ১৮ দলের হামলা

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের-৫ (মিঠাপুকুরের বড় হযরতপুর) এলাকায় সোমবার  সকালে আওয়ামী লীগ আনন্দ মিছিল বের করলে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১১ টার দিকে বড় হযরতপুর ইউনিয়নের বন্ধুর মোড়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জয়দুল ইসলামের নেতৃত্বে নির্বাচনী বিজয় মিছিল বের করে। এসময় সেখানে উপস্থিত স্থানীয় ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
বিক্ষিপ্ত হামলা প্রায় ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। গুরুতর আহত অবস্থায় সভাপতি জয়দুল ইসলামকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
আহত জয়দুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছেন, আমরা এইচ এন আশিকুর রহমান এমপিসহ ও সারাদেশে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ট আসন পাওয়ায় বিজয় মিছিল বের করলে তাতে বিএনপি-জামায়াত শিবির ক্যাডাররা হামলা চালায়।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
উল্লেখ্য, মিঠাপুকুর আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধক্ষ্য এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি নির্বাচিত হয়। 

রংপুরে মঙ্গলবার হরতাল ডেকেছে জামায়াত

রংপুর: রংপুরে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা জামায়াত। পুলিশের গুলিতে জেলাটিতে জামায়াত-শিবিরের দুইজন কর্মীর নিহত হওয়ার প্রতিবাদে  এবং খুনীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবিতে এই হরতালের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির।

ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা জামায়াতের আমীর এ টি এম আজম খান এবং মহানগর শিবির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘নৃশংস হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেন। দলীয় কর্মীদের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং বুধবার বিক্ষোভ র্কমসূচি পালন করার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে পীরগাছার দেউতি বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি দেউতির আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তারা দুই কর্মী হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় তারা নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

রংপুর মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দলের সেক্রেটোরি আল আমিন হাসান পারুল, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা মতলুবুর রহমান, সেক্রেটারি হাফেজ আলমগীর প্রমুখ।

এছাড়াও মহানগরী ও  জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন মহানগর জামায়াতের আমীর মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা আমীর এ টি এম আজম খান, মহানগর সেক্রেটারি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফ, পীরগাছা উপজেলার আমীর অধ্যাপক মোতালেব হুসাইন, সেক্রেটারি অধ্যাপক বজলুর রশীদ প্রমুখ।

Sunday, January 5, 2014

রংপুরে এগিয়ে লালমনিরহাটে হারলেন এরশাদ


রংপুর: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল চারটায়। এখন চলছে ভোট গণনা। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রংপুর-৩ (সদর) আসনে ৫০টি ভোটকেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে  লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এইচ এম এরশাদ ১০৬৫৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের সাব্বির আহমেদ পেয়েছেন ৩৪২০ ভোট।


উল্লেখ্য, রংপুর- ৩  আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৫৫৬২০। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২০৫ টি। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 


হেরে গেলেন এরশাদ
লালমনিরহাট : লালমনিরহাট-১ আসনে হেরে গেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিন পেয়েছেন ৭ হাজার ৮২৭ ভোট। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহের হোসেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

রংপুরে বিপুল ভোটে এগিয়ে হাসিনা

রংপুর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার দুটো আসন থেকে নির্বাচন করছেন। আসন দুটি হলো রংপুর-৬ ও গোপালগঞ্জ-৩। রংপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদ আহমদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন।
সর্বশেষ পাওয়া প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীক নিয়ে শেখ হাসিনা রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে ৬৭ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। এ আসনের ১০৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টির ফলাফলে শেখ হাসিনা ৭০ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. নুর আলম মিয়া (জাতীয় পার্টি—লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৮ ভোট।
সহিংসতা ও আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে একতরফা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকি ১৪৭ আসনের প্রায় সাড়ে চার কোটি ভোটার আজ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

লালমনিরহাটের ৩১ কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি


লালমনিরহাট : লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৩১টি কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি । এ কেন্দ্রগুলো হলো- বড়বাড়ী, পঞ্চগ্রাম, কুলাঘাট, মহেন্দ্রনগন ও হারাটি । 
সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তাগণ শীর্ষ নিউজকে এ তথ্য জানান।

সকাল থেকে এসব কেন্দ্রে কোন ভোটার চোখে পড়েনি । এমনকি এ কেন্দ্রগুলোতে কোন প্রার্থীর এজেন্ট পর্যন্ত ছিল না । নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেন্দ্রগুলোতে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে ।

তবে স্থানীয়রা জানান, পছন্দের প্রার্থী না থাকায় তারা ভোট দিতে যায়নি।

স্থানীয়রা আরও জানায়, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুুলুর লালমনিরহাটে অবস্থান খুব শক্তিশালী ও এসব ইউনিয়নের বিএনপির অবস্থানও বেশ শক্তিশালী। আসাদুল হাবিব দুলু বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তিনি নির্বাচন করতে না পারায় স্থানীয়রা ভোট দিয়ে যায়নি। 

গাইবান্ধার চারটি আসনে ১১টার পর ভোটগ্রহণ শুরু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের হামলার মুখে ব্যালট বাক্স না পৌঁছানোর কারণে গাইবান্ধার চারটি আসনের শতাধিক কেন্দ্রে রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোটই শুরু করা যায়নি। এ ছাড়া গোবিন্দগঞ্জে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেছেন।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার চাপাদহ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়, পুবতলা এ কিউ উচ্চবিদ্যালয়, খোলাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশার কারণে ভোটাররা কেন্দ্রেই আসছেন না।

গাইবান্ধার চারটি আসনের মোট ৪৬৫টি ভোটকেন্দ্র। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলছেন, পাঁচ উপজেলার ৯৮টি কেন্দ্রে ভোট শুরু করা যায়নি। তবে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সংখ্যা শতাধিক।

পলাশবাড়ীতে মোট ভোটকেন্দ্র ৬৩। অধিকাংশ কেন্দ্রেরই একই অবস্থা। কতটি ভোটকেন্দ্রে ভোট শুরু করা যায়নি জানতে চাইলে পলাশবাড়ী উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বেলা ১১টার দিকে বলেন, ‘সঠিক সংখ্যা দেয়া সম্ভব না।’

সদর উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, সদরের ৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে এখনো তিনটিতে ভোট শুরু করতে পারেননি।

সাদুল্যাপুর উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ ফরহাদ হোসেন প্রধান জানান, এখানকার ৬৭ কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টিতেই ভোট গ্রহণ শুরু করা যায়নি।

গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে অন্তত ১৫টি কেন্দ্রে ভোট শুরু করা যায়নি বলে জানিয়েছেন এখানকার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান।

লালমনিরহাটে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংর্ঘষে আহত যুবদল নেতা ফারুক হোসেন শনিবার রাতে মারা গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার সকালে পাটগ্রাম উপজেলার সফিরহাট এলাকায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংর্ঘষে স্থানীয় যুবদল নেতা ফারুক হোসেন গুরুত্বর আহত হন। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা এলাকায় সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের লোকজন ফারুককে এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে নেয়।

পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন আবারও তার ওপর হামলা চালায়। প্রায় তিন ঘন্টা পর খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারুককে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। রাতে চিৎকিসাধীন অবস্থায় ফারুকের মৃত্যু হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

পাটগ্রাম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আমিরুল জামান ফারুকের মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

দিনাজপুরে ভোটকেন্দ্রে হামলা, আনসারসহ গুলিতে নিহত ২

দিনাজপুর প্রতিনিধি: শনিবার রাতে দিনাজপুর সদরের নশিপুর স্কুল কেন্দ্রে হামলার সময় পুলিশের গুলিতে বাবুল হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিএনপির পক্ষে দাবি করা হয়েছে গুলিতে নিহত বাবুল ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির নেতা। তবে পুলিশ এখনো এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

নির্বাচন বিরোধীদের আগুনে সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদের নির্বাচনী এলাকা দিনাজপুর ৪ -। ১২০টি কেন্দ্রের মধ্যে আগুনে ছাই হয়েছে ৫৭টি কেন্দ্র। সঙ্গে ব্যালট পেপার ভোট বাক্সসহ অন্যান্য নির্বাচনী উপকরণ। এছাড়াও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কেন্দ্রের ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন উপকরন।

খানসামার সহকারি রির্টানিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম জানিয়েছেন, ৫২ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩০ টি কেন্দ্রে আগুন পুড়েছে ব্যালট পেপারসহ সব উপকরণ। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওইসব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারেনি তারা।

চিরিরবন্দরের সহকারী রির্টানিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ৬২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে। বিকল্প স্থানের অভাবে তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে দিনাজপুর সদর ৩ আসনে ১০টি এবং দিনাজপুর ৫ আসনের পাবর্তীপুরে আগুন দেয়া হয়েছে পাঁচটি কেন্দ্রে। এসময় প্রিজাইডিং অফিসার এবং পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে আটজন।



দিনাজপুরে কেন্দ্রে ঢুকে আনসার সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা

দিনাজপুরের চণ্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর শালন্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ওয়াহেদ আলী নামে এক আনসার সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিরোধী দলের কর্মীরা। এ সময় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কেন্দ্র ছেড়ে পালিয়ে যায়।

রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। দিনাজপুর-৫ আসনের ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

পার্বতীপুরের ওসি নুরুজ্জামান জানান,  তিনি সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

রংপুরের পীরগাছায় সংঘর্ষে নিহত ২

রংপুর: রংপুর: রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের পীরগাছার পারুল ইউনিয়নের দেউতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বক্স ছিনতাইয়ের সময় পুলিশ ও ১৮ দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের গুলিতে দুই জামায়াত শিবির নেতাকর্মী নিহত এবং অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে পীরগাছার ৯০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭০ ভাগের ব্যালটবক্স ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়ায় সকাল ৯টা পর্যন্ত সেখানে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরুই হয় নি। তবে নির্বাচন অফিস বলছে ৪১টি ভোট কেন্দ্রের কোন সরঞ্জামাদি না থাকায় সেখানে ভোটগ্রহণ করা যাচ্ছে না।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোররাতে ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা দেউতি বাজারে দেউতি উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র ঘেরাও করে ব্যালটবক্স ছিনিয়ে নিয়ে বাইরে এনে পুড়িয়ে দেয়। পোড়ার পর চলে যাওয়ার সময় পুলিশ পর গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই পারুল ইউনিয়ন জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি মিরাজুল ইসলাম নিহত হন। গুলিবিদ্ধ ১১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে দেউতি বাজার ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি হাদিউজ্জামান হাদি মারা যান। এ ঘটনায় সেখানে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ফিরোজুল ইসলাম জানান, পুলিশ বিক্ষুব্ধ নিরস্ত জনতার ওপর পাখির মতো গুলি বর্ষণ করায় আমাদের দুই জন নিহত হয়।
 

ঠাকুরগাঁও এ প্রিজাইডিং অফিসারকে পিটিয়ে হত্যা


ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও এ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম এবিএম জবাইদুল ইসলাম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 
এসময় ব্যালট পেপার ও রাইফেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

Saturday, January 4, 2014

গাইবান্ধায় রাস্তা কেটে ভোটকেন্দ্রের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

গাইবান্ধা, ৪ জানুয়ারি : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের টেংরা-বাদিয়া খালী রাস্তা কেটে তিনটি ভোট কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দিয়েছে অবরোধকারীরা।
আজ শনিবার বিকেলে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের টেংরা-বাদিয়াখালী রাস্তার কেশবপুর ব্রিজের পাশের রাস্তা কেটে ফেলায় ভোট কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
কেন্দ্রগুলো হলো, সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গণকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাশিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পলাশবাড়ী থানার এসআই কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নীলফামারীতে ১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা : দেশের ৪ জেলার ছয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন।
কেন্দ্রগুলো হলো, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ২টি, লক্ষ্মীপুরে ২টি, নীলফামারীতে ১টি এবং দিনাজপুরের ১টি।
শনিবার রাত নয়টার দিকে নির্বাচন কমিশন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, সারাদেশে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক সহিংসতার কারণে ব্যালট পেপার ও বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি পুড়ে যায়। এরফলে ওইসব কেন্দ্রে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যালট পেপারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ না করতে পেরে এ সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

লালমনিরহাটে পোলিং অফিসারকে পিটিয়ে আহত


লালমনিরহাট : লালমনিরহাট সদর উপজেলার আমবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পাওয়া হাফিজুর রহমান নামের একজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।

লালমনিরহাট উপজেলা স্বস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে কর্মরত হাফিজুর রহমান নির্বাচনী সামগ্রী নেওয়ার জন্য দুপুরে নিজ বাড়ি সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের সাকোয় গ্রাম থেকে সদর উপজেলা পরিষদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে চওড়াডাঙ্গী ব্রিজের কাছে পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত তাকে হকস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তিনি ওই হাসপাতালের ৮নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নবিউর রহমান জানান, হাফিজুর রহমান নামের একজন শনিবার লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

কুড়িগ্রামে অবরোধকারী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, আহত ৫, পীরগাছা-গাইবান্ধায় ব্যালট পেপার ও বাক্সে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ১৮ দলের সমর্থক অবরোধকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুবসহ পাঁচজন  আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রোমান ও সুফিয়ান নামের ছাত্রদলের দুই কর্মীকে  আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কালীবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে  ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিছুর রহমান মোটরসাইকেলে করে শহরে যাচ্ছিলেন। এ সময় অবরোধকারীরা তাঁর মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করেন। এ খবর শহরের ঘোষপাড়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুবের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের কালীবাড়ি মোড়ে পৌঁছালে ১৮ দলের সমর্থকেরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। সংঘর্ষে মিনহাজুল ইসলামসহ পাঁচজন জন আহত হন। মিনহাজুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুব জানান, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরে টহল জোড়দার করা হয়েছে।

গাইবান্ধায় ব্যালট পেপার ও বাক্সে আগুন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যালট পেপার ও বাক্সে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাল ৫ জানুয়ারি ভোট উপলক্ষে উপজেলা সদর থেকে আজ বিকেলে ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভটভটিতে করে কুঞ্জমহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।ওই ভটভটিতে পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও ছিলেন।ভটভটিটি উপজেলার মহিপুর বাজারে পৌঁছালে শতাধিক লোক এসে তা আটকে দেয়।পরে তারা ভটভটি থেকে ভোটের ব্যালট বাক্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লতিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগুনে ব্যালট বাক্স ও প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র পুড়ে গেছে।এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।তবে এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পীরগাছায় ব্যালট ও বাক্স ছিনতাই

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দামুর চাকলা দেওয়ান সালেহ দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের হামলায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আসাদ আলীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দামুর চাকলা দেওয়ান সালেহ দাখিল মাদ্রাসা উপজেলার ৯২ নম্বর ভোটকেন্দ্র ছিল।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আসাদ আলী জানান, সন্ধ্যায় তিনি দেওয়ান সালেহ দাখিল মাদ্রাসায় ভোটের কাগজপত্র নিয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল লাঠি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে আনসার সদস্য ও তাঁকে মারধর করে সব ব্যালট বাক্স ও পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এতে তিনি এবং রফিকুল ইসলাম ও মাসুদ রানা নামের দুজন আনসার সদস্য আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলেয়া ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাগেশ্বরীতে ভোটকেন্দ্রে আগুন
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় গতকাল রাতে একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের খামার হাসনাবাদ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে বিদ্যালয়ের আসবাব পুড়ে যায়। নাগেশ্বরী থানার ওসি আবদুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

হরতাল অবরোধে অচল রংপুর ৬টি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ

রংপুর ব্যুরো : টানা অবরোধের চতুর্থ দিনে ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে দেয়া হরতালের প্রথম দিনেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রংপুর। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে রংপুর মহানগরী ও পীরগঞ্জের ছয়টি ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও শনিবার সকালে নগরীতে ইসলামী ছাত্রশিবির ককটেল ফাটিয়ে বিক্ষোভ সড়ক অবরোধ করে। মিঠাপুকুরেও রাতে ৩০টির মতো ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।

অবরোধের সঙ্গে রংপুরে শনিবার ভোর ছয়টা থেকে যোগ হয়েছে কেন্দ্রীয় ভাবে ৪৮ ঘণ্টা ও স্থানীয় আঠারো দলের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল। অবরোধের কারণে  দুরপাল্লা, আন্ত:জেলা ও উপজেলা রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।

আর হরতারে কারণে নগরীতে দোকানপাট বন্ধ আছে। সীমিত পরিমাণে কিছু রিকশা, অটোরিকশা চলতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে নির্বাচন প্রতিহত করতে শুক্রবার দিবাগত ভোর রাতে ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা রংপুর মহানগরীর মুলাটোল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাহিগঞ্জ মহিন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টেশন পীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরগঞ্জের ভেন্ডাবাড়ি ভীম শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় আলমপুর ইউনিয়নের পত্নীচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভষ্মিভূত হয়েছে। অন্যদিকে সকালে ইসলামী ছাত্রশিবির মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা নগরীর পায়রা চত্বর, উত্তম, তাজহাট এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি ইট পাটকেল, ও পেট্রোলে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। এসময় তারা যেকোনো মূল্যে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। এসময় সেখানে ১০টিরও বেশি ককটেল ফাটায় তারা।

এছাড়াও শুক্রবার রাতে মিঠাপুকুরের দুলাহপুর, জায়গীর, বৈরিগঞ্জ, গড়ের মাথাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৩০ টির বেশি ককটেল ফাটিয়ে  আতংক তৈরি করে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা।

এছাড়া সকাল থেকেই বিএনপি, জামায়াত, শিবিরসহ আঠারো দলীয় জোট নেতাকর্মীরা নগরীর বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রান্ড হোটেল মোড়, মডার্ন মোড়, সাতমাথা, জাহাজ কোম্পানি মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল মিটিং ও পিকেটিং করার প্রস্তুতি নিলেও আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে তারা মাঠে নামতে পারছে না।

এদিকে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে নগরীসহ আশেপাশের প্রতিটি উপজেলায় বিপুল পরিমাণ বিজিবি, র্যা ব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীও নগরীতে অবিরাম টহল দিচ্ছে।

বিরোধী দলের অবরোধ হরতাল আর নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা আর অন্যদিকে সরকারের নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের কারণে উভয়পক্ষই এখন মারমুখী অবস্থানে আছে। সাধারণ মানুষ যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে বাসা বাড়িতেই অবস্থান করছেন। ফলে সকাল থেকেই নগরীতে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে।

পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভোটকেন্দ্রসহ নগরী ও আশেপাশের সকল উপজেলায় আইন শৃংখলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। কেউ নাশকতা করতে চাইলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।
এদিকে নগরীর বাইরে উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পালন হচ্ছে অবরোধ ও হরতাল। গ্রামগঞ্জেও তেমন কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। গ্রামের মানুষজনের মধ্যেও আতংক বিরাজ করছে।