Thursday, January 23, 2014

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জয়ী জেপি

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) রুহুল আমিন। সাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২০৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাকির হোসেন (নৌকা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯১৭ ভোট।
রৌমারী, রাজীবপুর, উলিপুর ও চিলমারীর দুটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্থগিত দুটি কেন্দ্রে আজ বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ হয়েছে। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়।
কেন্দ্র দুটি হলো রৌমারী কেরামতিয়া মাদ্রাসা ও চর বন্দবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই দুই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ২৫৭ জন।
সকাল থেকে কেন্দ্র দুটিতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চর বন্দবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ২১৪ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ২৪১ জন ভোট দিয়েছেন। আর রৌমারী কেরামতিয়া  মাদ্রাসায় ভোট পড়েছে ৪০৩টি।
৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাকির হোসেনের সমর্থকদের হামলায় এ দুটি আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়।
পরে নির্বাচন কমিশন এই দুটি কেন্দ্রে ১৬ জানুয়ারি পুনরায় ভোট গ্রহণের তারিখ ধার্য করে। ১৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাকির হোসেন হাইকোর্টে এ দুটি কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট নেওয়ার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট তিনটি কেন্দ্রের আবেদন নাকচ করে দিয়ে এ দুটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট নেওয়ার ওপর চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ জারি করেন।
এর বিরোধিতা করে জাপার (মঞ্জু) প্রার্থী রুহুল আমিন গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালতে ভোট গ্রহণের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৩ হাজার ৬৪ জন। ৫ জানুয়ারি এই আসনের ১০৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৪টি কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৫৭ হাজার ১০৮টি। এর মধে রুহুল আমিন (সাইকেল) পান ৩০ হাজার ৫৪৪ ভোট। আর জাকির হোসেন পান (নৌকা) ২৩ হাজার ৯৬৪ ভোট।
এর ফলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৩৩, জাপা ৩৪, স্বতন্ত্র ১৫, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬, জাসদ (ইনু) ৫, তরিকত ফেডারেশন ২, জেপি ২ ও বিএনএফ ১টি আসন পেল।
তবে যশোরের দুটো আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হলেও নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন তাদের শোকজ করেছে।

No comments:

Post a Comment