Saturday, October 17, 2020

শরিয়াহ বন্ডে বিদেশিদের বিনিয়োগের সুযোগ | Outlook Bangla

শরিয়াহ বন্ডে বিদেশিদের বিনিয়োগের সুযোগ | Outlook Bangla: উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অর্থায়নে সরকার শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ চুক্তি ‘সুকুক’ বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ বন্ড ইস্যু ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি গাইডলাইন বা নির্দেশনা তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, নিবাসীদের পাশাপাশি অন�%B...

শরিয়াহ বন্ডে বিদেশিরাও বিনিয়োগ করতে পারবে
স্টাফ রিপোর্টার, আউটলুবাংলা ডট কম

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অর্থায়নে সরকার শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ চুক্তি 'সুকুক' বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ বন্ড ইস্যু ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি গাইডলাইন বা নির্দেশনা তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, নিবাসীদের পাশাপাশি অনিবাসী যে কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ও বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। এর ব্যবস্থাপনায় থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সুকুক হচ্ছে শরিয়াহ সম্মতভাবে পরিচালিত এক ধরনের বন্ড। এতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারেন। ওই বিনিয়োগের অর্থ থেকে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়, তার লাভ-লোকসানের অংশীদার হয়ে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বন্ড চালু আছে।

গাইডলাইনে বলা হয়েছে, নিবাসী (দেশে বসবাসকারী) ও অনিবাসী (প্রবাসী বাংলাদেশি বা বিদেশি) যে কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুকুক কেনার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে তাদের লাভ ও ক্ষতি দুটোই গ্রহণে সম্মত থাকতে হবে।

অনিবাসী ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী দেশের যেকোন ব্যাংকে তার নামে পরিচালিত নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বা নন-রেসিডেন্ট ইনভেস্টরস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবে। শেয়ারবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটেও সুকুক লেনদেন হবে।

শরিয়াহভিত্তিক সুকুকে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা কোনো সুদ পাবেন না, মুনাফা পাবেন। এ মুনাফা কম বা বেশি হতে পারে। সাধারণত সুকুক চালু করা হয় সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের অধীনে। ওই প্রকল্প থেকে যে আয় হবে, তা মুনাফা হিসেবে সুকুকে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বণ্টন করা হবে। এর ফেসভ্যালু সরকার নির্ধারণ করবে।

মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতারসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশ সুকুক চালু করেছে। এছাড়া, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ কয়েকটি অমুসলিম দেশেও ইসলামী বন্ড চালু হয়েছে।


অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর অংশীদারিত্ব প্রায় ২৫ শতাংশ। অথচ সরকারের ঘাটতি অর্থায়নে শরিয়াহভিত্তিক কোনো বিনিয়োগ উপকরণ নেই। এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সরকারও ঘাটতি অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল ব্যবহার করতে পারছে না। সুকুকের মাধ্যমে ঘাটতি অর্থায়ন করা হলে সরকারের সুদ ব্যয়ও কমবে। অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগ প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব অত্যন্ত বেশি, যা ব্যক্তির থেকে আশা করা যায় না। এ কাজ করতে ঘাটতি অর্থায়ন আসছে প্রচলিত ব্যাংক ও আর্থিক ব্যবস্থা থেকে। এ প্রক্রিয়ায় ইসলামী ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও শরিক হতে পারে।

গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, সুকুক পরিচালনার জন্য শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থ বিভাগ, শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ, ব্যবসা ও আর্থিক বিষয়ে অভিজ্ঞরা থাকবেন। এ কমিটি সুকুক ইস্যুর জন্য শরিয়াহ গাইডলাইন মেনে মুড অব ইনভেস্টমেন্ট নির্ধারণ বিষয়ে পরামর্শ দেবে।

সুকুকের সেকেন্ডারি বাজারে লেনদেন সম্পর্কে গাইডলাইনে বলা হয়েছে, নিবাসী ও অনিবাসী- উভয় ধরনের বিনিয়োগকারী সেকেন্ডারি বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ে অংশ নিতে পারবেন। সুকুক ইস্যুকারী দেশের ভেতরে বা আন্তর্জাতিক যেকোনো পল্গ্যাটফর্মে এর তালিকাভুক্তি এবং ট্রেডিংয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

No comments:

Post a Comment