পীরগাছায় করোনা পরিস্থিতি
পীরগাছা (রংপুর): রংপুরের পীরগাছায় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। প্রায়ই নমুনা রিপোর্ট আসতে সাত থেকে ১৩ দিন সময় লাগছে। এই সময়ে অনেকে পরিবারসহ বাইরের লোকজনের সংস্পর্শে আসছেন। ফলে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক হারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলায় শেষ দুই দিনে নয় জন নতুন করে শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনজন ও বুধবার ছয় জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের পাওটানা এলাকায় নমুনা দেওয়ার ১৩ দিন পর একজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। তিনি জানান, গত ২৭ মে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। এ সময় তার সামান্য গলাব্যথা ছিল। নমুনা দেওয়ার দীর্ঘ সময় পরেও রিপোর্ট না আসায় নিজেকে সুস্থ মনে করায় স্বাভাবিক কাজ কর্ম চালিয়ে যান তিনি। নানা প্রয়োজনে হাটবাজারসহ বাইরেও বেড়িয়েছেন।
গত ৩১ মে থেকে ৫ জুনের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে গত বুধবার চার জনের করোনা শনাক্ত হয়। তবে তারা নমুনা দেওয়ার পর থেকে ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা নিয়মিত হাটবাজারে গেছেন। চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়েছেন। পরিবারের সকলের সংস্পর্শে এসেছেন। ফলে তাদের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
গত ১ মে উপজেলায় প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও এক জন। অন্যদিকে উপজেলাজুড়ে ২৭ জন আক্রান্ত হলেও এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১০ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু আল হাজ্জাজ বলেন, নতুন করে শনাক্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা লোকজনের নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার সুযোগ সীমিত হওয়ায় অনেক সময় রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment