Sunday, September 22, 2019

ভাংনী আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার গভার্নিং বডির নির্বাচনের তথ্য ফাঁস

রংপুর ব্যুরো: রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলাধীন ভাংনী আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ২১শে জুন ১৭ তারিখে গভর্নিং বডির কোনো নির্বাচন হয়নি মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অধ্যক্ষ মো. মাকছুদুর রহমান জামেলী জানান, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং ৬৮৫/১৭ এর প্রদত্ত আদেশের প্রেক্ষিতে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষ আমার সাময়িক বরখাস্ত বিধি মোতাবেক না হওয়ায় তা ২৮শে মার্চ ১৭ তারিখে ইস্যুকৃত পত্রের মাধ্যমে বাতিল করেছেন মর্মে আমি ২৯ শে মার্চ ১৭ তারিখ হতে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। ফলে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ স্বয়ংক্রীয় ভাবে বিলুপ্ত হয়েছে। মাদ্রাসা অধিদপ্তর ও মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং  ১৪১৭০/১৭ এর প্রদত্ত আদেশের প্রেক্ষিতে শিক্ষক কর্মচারীগণের মার্চ ২০১৭ সাল হতে আগষ্ট ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার উৎসব ভাতার বেতন বিল প্রদান করেছি।

তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সালেহ  মো.জাকারিয়া ০১ এপ্রিল ১৭ ইং তারিখে গর্ভনিং বডির ভ’য়া রেজিলেশন সৃজন করে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮শে মার্চ ১৭ তারিখে পত্রের কার্যকারিতা এবং অধ্যক্ষের কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ৩টি রিট দায়ের করেন। তন্মধ্য ৪৮৩৭/১৭ ও ৫৮৯১/১৭ রিট দুটি খারিজ হয়। ৭৩৫২/১৭ রিটে বিশ্ব বিদ্যালয়ের পত্রের কার্যকারিতা ৩ মাসের স্ট্রে অর্ডার আদেশ হয়। অধ্যক্ষ কর্তৃক আপিল নং ২২৬৪/১৭ তাং ১৩.০৬.২০১৭ তারিখে ৭৩৫২/১৭ রিট মামলার স্ট্রে অর্ডার স্ট্রে করা হয়।
ফলে, সুপ্রীম কোর্টের আপিল নং ২২৬৪/১৭ স্ট্রে অর্ডার থাকায় অধ্যক্ষ ব্যতীত অন্য কারো নির্বাচন করার আইনগত কোনো এখতিয়ার নাই।তথাকথিত ভারপ্রাপপ্ত অধ্যক্ষ আবু সালেহ মো. জাকারিয়া সুপ্রীম কোর্টের ২২৬৪ স্ট্রে অর্ডার লংঘন করে ২১শে জুন ১৭ তারিখে অভিভাবক, দাতা ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভ’য়া কাগজপত্র সৃজন করে প্রতিষ্ঠানের বিশৃঙ্খলা সৃষ্ট করায় জাকারিয়া সহ নয়জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করা হয়েছে। য পিবিআই কর্তৃক তদন্ত চলছে।

উপাধ্যক্ষ মো. গ্ফোরান আলী ওয়াহেদী জানান, ২১ শে জুন ১৭ তারিখে গর্ভনিং বডির নির্বাচনের বিষয়ে বিভিন্ন অফিসে ( জেলা প্রশাসক রংপুর, মাদ্রাসা অধিদপ্তর ও ইসলামী আরবি বিশ্ব বিদ্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়) অভিযোগ করা হলেও অদ্যবধি তার কোনো অগ্রগতি নেই। যা সম্পূর্ণ ভুয়া বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মাদ্রাসার সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ মিয়া ও সাবেক সদস্য ইলিয়াস আহমেদ ওয়াহেদী ২১ শে জুন ১৭ তারিখে অত্র মাদ্রাসায় কোনো নির্বাচন হয় নাই। 

আব্দুল বাতেন মিয়া ও হযরত আলী দাতা সদস্য জানান, যে ২১ শে জুন ১৭ তারিখে অত্র মাদ্রাসায় দাতা সদস্যের কোনো নির্বাচন হয় নাই। যে ২১ শে জুন ১৭ তারিখে অত্র মাদ্রাসায় দাতা সদস্যেও কোনো নির্বাচন হয় নাই। জনাব সোলায়মান, আবুল কাশেম ও নুরুল ইসলাম ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবক যে ২১ শে জুন ১৭ তারিখে অত্র মাদ্রাসায় অভিভাবক  সদস্যের কোনো নির্বাচন হয় নাই। ছাত্র/ ছাত্রী  মো. জেনারুল ইসলাম , রফিকুল ইসলাম, খাদিজাতুল কোবরা, যে ২১ শে জুন ১৭ তারিখে অত্র মাদ্রাসায় কোনো নির্বাচনের আয়োজন হয় নাই। 

মোছা. শাহানাজ বেগম,ছদরুল ইসলাম, আতোয়ার রহমান জানান, অত্র মাদ্রাসায় ২০১৬ সালের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের পর আর কোনো নির্বাচন হয় নাই । আমরা একবারে ভোট দিয়েছি।

আকরামুল ইসলাম, ওয়ারেছ আহমেদ,আকমল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান, আকবর আলী, ফাকরুল ইসলাম,আব্দুল বাতেন হামেদী, খয়রত হোসেন, রফিকুল ইসলাম তারা সকলেই জানান যে ২১ শে জুন ১৭ তারিখে অত্র মাদ্রাসায় কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নাই। যা সম্পূর্ন ভুয়া ও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এলাকাবসী সূত্র জানা যায়, অত্র প্রতিষ্ঠানটি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তরবঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী সু-শৃঙখল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নানান সমস্যায় দীর্ঘদিন থেকে জজর্ড়িত। দীর্ঘদিন থেকে অধ্যক্ষের পদ নিয়ে টানাটানি চলছ্।ে মামলা মোকদ্দমা, শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার কোনো পরিবেশ নাই। শিক্ষক কর্মচারী গণের ৪৩ লাখ টাকা সরকারী কোষাগাড়ে ফেরৎ যায়।  এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার স্বার্থে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।  

No comments:

Post a Comment