Friday, February 25, 2022

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও একটি হাদিসের পর্যালোচনা

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও একটি হাদিসের পর্যালোচনা

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও একটি হাদিসের পর্যালোচনা

হযরত আবূ হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, শেষ জামানায় পুরো পৃথিবী ব্যাপী একটি যুদ্ধ হবে। এটা হবে দুইটি বড় যুদ্ধের পর তৃতীয় যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধে অনেক মানুষ ধ্বংস হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে ব্যাক্তি আগুন জ্বালিয়ে দেবে সেই হবে মহান নেতা।

হিজরি ১৩ শতাব্দীর কয়েক দশক (এক দশক=১০ বছর) পর গ্রিক রাজা সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ করবেন এবং আল্লাহ তায়ালা তাকে যুদ্ধের নির্দেশ দিবেন। সে যখন যুদ্ধ ক্ষেত্রকে আগুন দ্বারা পরিপূর্ণ করবেন, আর তখনই সে আল্লাহ তায়ালার শাস্তির মুখোমুখি হবে, সে রাশিয়ান গুপ্ত ঘাতক দ্বারা খুন হবে।

তারপর হিজরি ১৩ শতাব্দীর সাথে আরো ৫, ৬, ৭, ৮ দশক গণনা করার পর মিশরে একজন ব্যক্তি (জামাল আবদেন নাসের) আসবে, যাকে আরবরা সুচ্চাউল আরব বা আরবের সাহসী ব্যক্তি বলে ভূষিত করবে এবং যাকে “নাসের” বলা হবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে ২ বার অবজ্ঞা করবেন, একবার যুদ্ধে এরপর আবারো। “নাসের ” কখনো বিজয়ের দেখা পাবে না। তখন সমস্ত ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তায়ালা একজন কালো ব্যক্তি (আনোয়ার সাদাত) কে পাঠাবেন, যার পিতা তার তুলনায় উজ্জ্বল বর্ণের হবে।
আরব ও মিশরের নেতা মসজিদুল আকসা ছিনতাইকারীর সাথে একটি চুক্তি করবেন।

এরপর ইরাকে একজন নিষ্ঠুর শাসকের আবির্ভাব হবে, যে দামেস্কের নিকটবর্তী এলাকায় থাকবে, তার চোখে সামান্য আঘাতের চিহ্ন থাকবে, সেই হল সুফিয়ানী। সে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, পুরো পৃথিবী থেকে তার জন্য লোকজন একত্রিত হবে, কারণ তার সাথে আগে প্রতারণা করা হয়েছিল। সুফিয়ানীর জন্য ইসলাম ছাড়া এরচেয়ে ভালো কিছু থাকবে না, এর মধ্যে খারাপ ভালো দুটি জিনিসই থাকবে, যদিও সে মাহদীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।

এরপর হিজরি ১৪ শতাব্দীর সাথে ২ বা ৩ দশক গণনা করবে, ওই সময় মাহদীর আবির্ভাব হবে। সে পুরো পৃথিবীর সকলের বিরুদ্ধে, যারা বিপথগামী হয়ে গেছে (খ্রিস্টানরা) এবং যারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র (ইহুদীরা) এবং তাদের সাথে ব্যভিচার ও প্রতারণার রানী (আমরিকা) যার পুরো পৃথিবীকে অবিশ্বাসী ও দ্বিধা বিভক্ত করতে চেষ্টা করে, তারা ইসরা ও মিরাজের ভূমি (ফিলিস্তিন) পর্বতের নিকটে আসবে। এদের সবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন মাহদী।

তখন ইহুদীরা পৃথিবীতে ভালো অবস্থানে থাকবে, তারা বাইতুল মোকাদ্দাস ও পবিত্র (জেরুজালেম) শহর শাসন করবে। এ সময় তারা সমুদ্র ও আকাশ পথে তীব্র শীতল অঞ্চল (সাইবেরিয়া) ও তীব্র উষ্ণ অঞ্চল (সাহারা) ছাড়া সবাই তার (মাহদীর) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসবে। মাহদী দেখবে পুরো পৃথিবী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং সে একই সাথে আল্লাহ পরিকল্পনাও দেখবে, যা কাফেরদের ষড়যন্ত্রের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। সে দেখবে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা তার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।


(আসমাউল মাসালিক লি ইয়াওমিল মাহদীয়া মালিকি লি কুল্লিদ দুনিয়া বি আমরিল্লাহিল মালিক। লেখক: কালদা বিন যায়েদ, পৃষ্ঠা -২১৬)

পয়েন্ট-১। “শেষ জামানায় পুরো পৃথিবী ব্যাপী একটি যুদ্ধ হবে। এটা হবে দুইটি বড় যুদ্ধের পর তৃতীয় যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধে অনেক মানুষ ধ্বংস হবে।”

ব্যাখ্যা: এখানে পুরো পৃথিবী ব্যাপী যে যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, সেটা মূলত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। 


ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে জাপান যখন আমরিকান নৌঘাটি পার্ল হারবার আক্রমণ করেছিল, এরপরই কিন্তু আমরিকা সরাসরি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পরে।

পয়েন্ট-৩। “হিজরি ১৩ শতাব্দীর কয়েক দশক পর গ্রিক রাজা সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ করবেন এবং আল্লাহ তায়ালা তাকে যুদ্ধের নির্দেশ দিবেন”

ব্যাখ্যা: হিজরি ১৩ শতাব্দীর ৩ দশক পর ১৩৩০ হিজরি অর্থাৎ ১৯১২ থেকে ১৯১৩ পর্যন্ত প্রথম বলকান যুদ্ধে গ্রিস, বুলগেরিয়া, সার্বিয়া, আলবেনিয়ার, মন্টিনিগ্রো একত্রিত হয়ে অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। 

বিস্তারিত এখানে 

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও একটি হাদিসের পর্যালোচনা


বিডিআর বিদ্রোহের ১৩ বছর: সেদিন যা ঘটেছিল

বিডিআর বিদ্রোহের ১৩ বছর: সেদিন যা ঘটেছিল:

বিডিআর বিদ্রোহের ১৩ বছর: সেদিন যা ঘটেছিল

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা। রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) দরবার হলে শুরু হয় দরবার। পিলখানা ট্রাজেডির ১৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। এই ট্রাজেডির পর দীর্ঘ সময় পার হলেও শেষ হয়নি বিচার প্রক্রিয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিডিআর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিডিআরের কিছু বিদ্রোহী সদস্য অতর্কিত হামলা চালায় দরবার হলে। পথভ্রষ্ট সদস্যদের সেদিনের ওই হামলায় ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ নিহত হন ৭৪ জন। পিলখানার চার দেয়ালের ভেতরের নৃশংস এই হত্যাযজ্ঞ বুঝতে সময় লেগে যায় আরও দুইদিন।

পরদিন রাতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ ঘণ্টার বিদ্রোহের অবসান ঘটলে পিলখানার নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ। ২৭ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ভেতরে সন্ধান মেলে একাধিক গণকবরের। সেখানে পাওয়া যায় বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, তার স্ত্রীসহ সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ। উদ্ধার করা হয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র।

নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। ঢাকা মহানগর তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বিডিআরের সাবেক ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

বিদ্রোহের আগের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে তিন দিনব্যাপী রাইফেলস সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল রাইফেলস সপ্তাহের তিন দিনের বর্ণিল আয়োজন। কিন্তু তার আগেই ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিয়ার জওয়ানদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে রচিত হয় ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনাক্রম

আদালতে প্রত্যক্ষদর্শী অফিসার ও সৈনিকদের জবানবন্দিতে সেদিনের ভয়াবহ চিত্রের বর্ণনা পাওয়া যায়। ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, জওয়ানদের একটি দল সকাল ৯টার কিছু আগে অস্ত্রাগারে গিয়ে সেখানে দায়িত্বরত এক মেজরকে জিম্মি করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে। সেখানে দায়িত্বরত কোনো বিডিআর সদস্য তাতে বাধা দেননি।

২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় পিলখানায় দরবার হলে বার্ষিক দরবার শুরু হয়। সারাদেশ থেকে আসা বিডিআর জওয়ান, জেসিও, এনসিওসহ ২ হাজার ৫৬০ জন সদস্যে তখন পরিপূর্ণ দরবার হল।

৯টার কিছু পর দরবার হলে প্রবেশ করে মঞ্চে বসেন ডিজি শাকিল আহমেদ। সাড়ে ৯টার দিকে শাকিলের বক্তব্য চলাকালীন সিপাহী মাঈন মঞ্চে উঠে ডিজির দিকে অস্ত্র তাক করেন। এ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমএ বারি তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে জুতার ফিতা দিয়ে বেঁধে নিরস্ত্র করেন।

সঙ্গে সঙ্গে বিপথগামী বিডিআর জওয়ানদের একটি অংশ দরবার হলে ঢুকে মহাপরিচালকের সামনে তাদের নানা দাবি নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। মহাপরিচালক শাকিল সবাইকে বারবার শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান এবং প্রত্যেক কর্মকর্তাকে নিজ নিজ ইউনিট সামাল দিতে বলেন।

এরপরই সিপাহী সেলিম রেজার নেতৃত্বে একটি দল সশস্ত্র অবস্থায় দরবার হলে ঢুকে পড়লে সব পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ভেতরে শুরু হয় গোলাগুলি। প্রায় তিন হাজার সৈনিক এবং জেসিও মুহূর্তের মধ্যে যে যেভাবে পেরেছেন জানালা বা দরজা দিয়ে লাফিয়ে বেরিয়ে যান।

ডিজি, ডিডিজি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ৪৫-৫০ জন দরবার হলে অবস্থান করে আলোচনা করতে থাকেন। অন্যদিকে সিপাহীরা বাইরে গিয়ে নিজেদের সংগঠিত করে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে দেখা যায় লাল সবুজ রঙের কাপড় দিয়ে নাক-মুখ বাঁধা বিডিআরের একদল সৈনিক দরবার হল ঘিরে কিছুক্ষণ পর গুলি করেন।

ডিজি তখনও সমাধানের পথ খুঁজছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল ফোনে সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনী পাঠাতে অনুরোধ করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্রোহী সৈনিকরা চিৎকার করে কর্মকর্তাদের মঞ্চের ভেতর থেকে বের হতে বলেন। তখন মঞ্চের নিচে ১৫-১৬ জন বিদ্রোহী কাপড়ে মুখ ঢেকে দাঁড়িয়ে ছিল।

দরবার হলের মঞ্চের পর্দার আড়ালে উত্তর দিকে ডিজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন। বিদ্রোহীরা হ্যান্ডমাইকে বলছিল, ‘ভেতরে কেউ থাকলে বের হয়ে আসেন। ’ মুখে কাপড় বাঁধা একজন সৈনিক অস্ত্রহাতে পর্দা সরিয়ে মঞ্চে ঢুকে চিৎকার করে বলে, ‘ভেতরে কেউ আছেন? সবাই বের হন। ’ একই সঙ্গে কর্মকর্তাদের দিকে তাকিয়ে দুটি গুলি করেন তিনি।

এরপর ডিজিসহ একে একে অন্য কর্মকর্তারা পর্দা সরিয়ে বাইরে আসেন। মঞ্চের নিচে নেমেই কর্মকর্তারা ডিজি শাকিলকে মধ্যে রেখে গোল হয়ে দাঁড়ান। একজন সৈনিক চিৎকার করে অশালীন ভাষায় তাদের সিঙ্গেল লাইনে দাঁড়াতে বলেন। এরপরই একে একে হত্যা করা হয় তাদের।

শুরু হয় পিলখানাজুড়ে তাণ্ডব। চলে সেনা কর্মকর্তাসহ তাদের পরিবারকে হত্যা, নির্যাতন, জিম্মি, লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা। খবর পেয়ে সাভার ও ঢাকা সেনানিবাস থেকে সাঁজোয়া যান এবং ভারী অস্ত্র নিয়ে পিলখানার দিকে রওয়ানা হন সেনাসদস্যরা।

বেলা ১১টার মধ্যেই তারা ধানমন্ডি ও নীলক্ষেত মোড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন। বিডিআরের ১ ও ৫ নম্বর গেটের আশপাশসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আর্টিলারি গান ও সাঁজোয়া যান স্থাপন করা হয়। বিদ্রোহীরা সদর গেট ও ৩ নম্বর গেট থেকে সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট ছাড়া হলে ওই হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন বিদ্রোহীরা। তারা মাইকে জানান, আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পিলখানায় আসতে হবে।

দেড়টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাদাপতাকা নিয়ে পিলখানার ৪ নম্বর ফটকের সামনে যান যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক ও হুইপ মির্জা আজম।

ডিএডি তৌহিদের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ১৪ সদস্যের বিডিআর প্রতিনিধিদলকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন এবং অস্ত্র জমা দিয়ে ব্যারাকে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানানো হয়।

কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাকে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবি করেন বিদ্রোহী জওয়ানরা। এরমধ্যে সন্ধ্যায় পিলখানার বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

২৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ

২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে পিলখানায় বিডিআরের সংখ্যা কমতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে পোশাক বদলে ফেলে পিলখানার বিভিন্ন দিক দিয়ে পালিয়ে যেতে থাকেন বিডিআর জওয়ানরা। একপর্যায়ে ডিএডি তৌহিদের নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা আবার অস্ত্র সমর্পণের কথা বলেন।

২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের কাছে তারা অস্ত্র এবং অস্ত্রাগারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার চাবি বুঝিয়ে দেন। পরে পুলিশ পিলখানার নিয়ন্ত্রণ নিলে অবসান ঘটে ৩৩ ঘণ্টার বিদ্রোহের। ২৭ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ভেতরে সন্ধান মেলে একাধিক গণকবরের।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দরবার অনুষ্ঠানের আয়োজনকে সামনে রেখেই ষড়যন্ত্রকারীরা নিয়েছিল বিদ্রোহের প্রস্তুতি। জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার সুযোগ না থাকা, রেশন-বৈষম্য, ডাল-ভাত কর্মসূচির নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ নানা বিষয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল।

২৪ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সপ্তাহ শুরুর দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিলখানায় আসেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের দাবি-দাওয়ার কিছু না হওয়ায় সুবেদার গোফরান মল্লিকের নেতৃত্বে বিদ্রোহের পরিকল্পনা করেন কিছু জওয়ান। জানা যায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর সঙ্গে তার বাসার কাছে কয়েকজন বিডিআর সদস্য কথা বলেন। পরে পিন্টু তাদের ৫ নম্বর ফটক পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যান।

আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্য

পিলখানা ট্রাজেডির ১৩ বছর পার হলেও শেষ হয়নি বিচার প্রক্রিয়া। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলায় আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্য। তারা এখন দিন গুনছেন বিস্ফোরক মামলার বিচার শেষ হওয়ার।

ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা মামলা বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে শেষ হয়েছে। তবে বিস্ফোরক আইনে হওয়া অপর মামলা এখনো ঝুলছে নিম্ন আদালতে। রাষ্ট্রপক্ষের এক হাজার ৩৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ২১০ জন।

ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ বকশীবাজার আলীয়া মাদরাসা ময়দানে স্থাপিত আদালতে এই মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করেন। গত এক বছরে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আগামী ৯ ও ১০ মার্চ এই মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য আছে।

আসামিপক্ষের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিস্ফোরক মামলাটি শেষ করতে ধীরগতি রয়েছে। মামলাটি নিষ্পত্তিতে যথাযথ তৎপরতা নেই রাষ্ট্রপক্ষের। তাই বিচার শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দাবি করেছেন, সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে, এ বছরের মধ্যেই মামলার বিচারকাজ শেষ হবে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানরা নারকীয় তাণ্ডব চালায় পিলখানায়। তাদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। বিডিআর বিদ্রোহের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। দুই কমিটির প্রতিবেদনে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সেনা আইনে করার সুপারিশ করা হলেও উচ্চ আদালতের মতামতের পর সরকার প্রচলিত আইনেই এর বিচার করে।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছে। মামলাটি হত্যা মামলার সঙ্গে বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে শুধু হত্যা মামলার সক্ষ্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেনি। একপর্যায়ে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত করে দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়।

এই মামলায় আসামিপক্ষের অভিযোগ মামলাটি শেষ করতে রাষ্ট্রপক্ষ তৎপর নয়। আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। তবে সেটা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নয়। ২৭৮ জন আসামি এই ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলায় খালাস পান। এছাড়া স্বল্পমেয়াদে সাজা ভোগ করে আরও ১৯০ আসামি অপেক্ষা করছেন বিস্ফোরক মামলা নিস্পত্তির জন্য। তাই আমরা আসামিপক্ষে চাই মামলাটি দ্রুত শেষ হোক। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি শেষ করার ক্ষেত্রে সিরিয়াস নয়।

তিনি আরও বলেন, ৪৬৮ জন আসামি মূল মামলায় খালাস বা সাজাভোগ করেও মুক্তি পাচ্ছেন না। এমনকি জামিন নামঞ্জুরের আদেশও আমাদের সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাই জামিন আবেদন নিয়ে আমরা হাইকোর্টেও যেতে পারছি না। তাই আমরা চাই হয় এসব আসামিকে জামিন দেওয়া হোক অথবা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক।

তবে আসামিপক্ষের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ ছিল। আদালত খোলার পর রাষ্ট্রপক্ষে আমরা নিয়মিত সাক্ষী হাজির করছি। অভিযোগপত্রে ১ হাজার ৩৪৫ জন সাক্ষী আছেন। সবার সাক্ষী নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। যারা সাক্ষ্য দিতে আসবেন তাদের জবানবন্দি নিয়েই বিচার শেষ করা হবে। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই মামলার বিচারকাজ শেষ হবে।

Tuesday, February 22, 2022

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চালু হলো ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চালু হলো ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চালু হলো ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চালু হলো যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’। অ্যাপটি অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে। তবে পরিষেবাটিতে প্রবেশ আপাতত সীমিত বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, অ্যাপ্লিকেশনটির মালিকানায় রয়েছে ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ। অনেকই সোমবার এটি ডাউনলোড করেন। এসময় তারা রেজিস্ট্রেশনের মেসেজ পান। তবে চাহিদা বেশি থাকায় অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি। রাখা হয় অপেক্ষমাণ তালিকায়।

নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ও পরবর্তীতে ক্যাপিটল হিলে হামলার জেরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বয়কট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। টুইটার, ফেসবুক, এমনকি ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তার ব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুপস্থিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের সেই দুঃখ ঘুঁচতে যাচ্ছে এবার।

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্পের ছোট ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র টুইটারে একটি স্ক্রিনশট দিয়ে জানান, তার বাবার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘@রিয়েলডোনাল্ডট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল’ চালু হচ্ছে।

গত বছর জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর টুইটার তাকে নিষিদ্ধ করে। টুইটারে ট্রাম্পের প্রায় ৯ কোটি ফলোয়ার ছিল। এছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউবও ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ হয় ট্রাম্পের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও। ওই হামলার ঘটনা ট্রাম্পের সমর্থনে ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরেই জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাম্পের এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম।

Wednesday, January 19, 2022

দেশে বছরে গড়ে ২০টি পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটছে

দেশে বছরে গড়ে ২০টি পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটছে: #দেশে বছরে গড়ে ২০টি #পুরুষাঙ্গ #কর্তনের #ঘটনা ঘটছে দেশে বছরে গড়ে ২০টি পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটছে দেশে বছরে গড়ে ২০টি পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটছে

Thursday, March 4, 2021

ভয়েস কমান্ড নিয়ন্ত্রিত এসি উন্মোচন করলো ওয়ালটন - Outlook Bangla

ভয়েস কমান্ড নিয়ন্ত্রিত এসি উন্মোচন করলো ওয়ালটন - Outlook Bangla: ভয়েস কমান্ড নিয়ন্ত্রিত এসি উন্মোচন করলো ওয়ালটন ভয়েস কমান্ড নিয়ন্ত্রিত এসি উন্মোচন করলো ওয়ালটনভয়েস কমান্ড নিয়ন্ত্রিত এসি উন্মোচন করলো ওয়ালটন

Tuesday, March 2, 2021

রংপুর বিভাগে টিকা গ্রহণকারী ৩ লাখ ছাড়ালো


রংপুর প্রতিনিধি: রংপুর বিভাগের আট জেলায় করোনার টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। তেইশতম দিন মঙ্গলবার (২ মার্চ) পর্যন্ত টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ তিন হাজার ৯২। তবে শুরুর দিকের চেয়ে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা কমে আসছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা সবচেয়ে কম। দিনাজপুরে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা প্রথম দিকে বৃদ্ধি ফেলেও এখন অনেক কমে গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে, উপজেলা পর্যায়ে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা শতকরা দুই ভাগে নেমে এসেছে।


রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। দু-চার জন করে আসছেন আর টিকা নিচ্ছেন। কর্তব্যরত একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, টিকা নেওয়ার ব্যাপারে প্রথমদিকে সাধারণ মানুষের মাঝে আগ্রহ দেখা গিয়েছিল। এখন তা অনেক কমে গেছে।


রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. আহাদ আলী টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১০ হাজার ৩৫৪ জন টিকা নিয়েছেন। মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে রংপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৩৯৭ জন টিকা নিয়েছেন।  এরপরেই রয়েছে দিনাজপুর। এখানে টিকা নিয়েছেন দুই হাজার ১৭৮ জন। এছাড়া পঞ্চগড় জেলায় ৮৯২ জন, নীলফামারীতে এক হাজার ৬৮০ জন, লালমনিরহাটে ৮২৪ জন,  কুড়িগ্রামে ৭৪৯ জন, ঠাকুরগাঁয়ে ৭৮৩ জন এবং গাইবান্ধায় ৮৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার জন এবং নারী চার হাজার ৩৫৪ জন।


স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ও বিজিবির অনেক সদস্য, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ টিকা নিচ্ছেন। তবে নারীদের টিকা নেওয়ার অগ্রহ খুবই কমই লক্ষ করা গেছে। টিকা গ্রহণকারী কারও অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।


এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডা. আহাদ আলী জানান, রংপুর বিভাগের দুই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে দুই শতাধিক বুথের মাধ্যমে করোনায় টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা কমছে বলে স্বীকার করলেও এটা ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।


Tuesday, February 23, 2021

স্কুল খোলার পক্ষে মত দিলেও স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বাস্তবায়ন নিয়ে দুশ্চিন্তা - Outlook Bangla

স্কুল খোলার পক্ষে মত দিলেও স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বাস্তবায়ন নিয়ে দুশ্চিন্তা - Outlook Bangla: শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মতামত দিলেও তারা মনে করেন স্কুল খুলে দেয়ার পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। কারণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানা ও শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ক%E...

পোশাকশিল্পের আড়ালে বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার - Outlook Bangla

পোশাকশিল্পের আড়ালে বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার - Outlook Bangla: পোশাকশিল্পের আড়ালে বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার

Friday, December 18, 2020

Stimulus eludes 42pc apparel workers | Outlook Bangla

Stimulus eludes 42pc apparel workers | Outlook Bangla: Stimulus eludes 42pc apparel workers Stimulus eludes 42pc apparel workersStimulus eludes 42pc apparel workers

ফের বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি | Outlook Bangla

ফের বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি | Outlook Bangla: ফের বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ফের বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটিফের বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটিফের বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি, বেতন স্কেল ৫৬৫০০ | Outlook Bangla

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি, বেতন স্কেল ৫৬৫০০ | Outlook Bangla: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি, বেতন স্কেল ৫৬৫০০ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি, বেতন স্কেল ৫৬৫০০ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি, বেতন স্কেল ৫৬৫০০